স্টাফ রিপোর্টার : গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন ৩২ নং ওয়ার্ডের গুঁতিয়ারা এলাকায় একটি খাস জমি ও পুকুর দখল করে অবৈধভাবে ভাড়া দিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আব্দুছ ছামাদ ওরফে হাজী ছামাদের বিরুদ্ধে। প্রায় ৫৫ শতাংশের পুকুর ও আসপাশের ২৬ শতাংশ খাস জমি অবৈধ ভাবে দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে মোটা অংকের অর্থ জামানত আদায় করে ভাড়া উত্তোলন করছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। স্থানীয়দের দাবি দখলকৃত এই সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করে জনস্বার্থে উন্মুক্ত খেলার মাঠ বা ঈদগা মাঠ তৈরি করার জন্য দাবি জানান । এবষিয় গাজীপুর জেলাপ্রশাসক বরাবরও লিখত আবেদন করেছে এলাকাবাসী। সরজমিনে ৩২ নং ওয়ার্ডের গুঁতিয়ারা এলাকায় গিয়ে জানা যায়, প্রায় ৮১ শতাংশ সরকারি খাস সম্পত্তি রয়েছে ওই এলাকায়। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশের একটি সরকারি পুকুরও রয়েছে।এক সময় এই সরকারি পুকুরটি এলাকাবাসি তাতের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করতে পারলেও দখল ও দূষণের কারণে এখন প্রায় মরতে বসেছে । জানা গেছে, অভিযুক্ত আব্দুছ ছামাদ ওরফে হাজী ছামাদ সরকারি নিয়মিত মেনেই ১০ শতাংশ জমি গাজীপুর জেলাপ্রশাসক থেকে লিজ নেন। তবে লিজ নেওয়া পর অবৈধ ভাবে সেই সম্পদে বেশ কিছু দোকান তৈরি করে ভাড়া আদায় শুরু করেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে ৫৫ শতাংশের সরকারি পুকুরটিরও দখল করে তৈরি করেন দোকান। পরবর্তী সরকারি পুকুরের পাশের ১৬ শতাংশ জমিটিও দখল করে তিনি নির্মান করেন আরও বেশ কিছু দোকান। সব বিষয় স্থানীয়রা প্রায়ই তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীদের দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটায় আব্দুছ ছামাদ ওরফে হাজী ছামাদ। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এক সময় এই পুকুরটি এলাকাবাসী সর্ব কাজে ব্যবহার করত। পরবর্তীতে ভূমিদস্যুরা সরকারি এই পুকুর ও খাস জমি গ্রাস করে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই প্রায়ই হামলার ঘটনা ঘটে। সরকারি এসব সম্পত্তি নিজেদের দখলে রাখতে তৈরি করেছেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী । এছাড়া স্থানীয়রা আরও বলেন,সরকারি এই ৮১ শতাংশ সম্পত্তিতে উন্মুক্ত খেলার মাঠ ও ঈদগা মাঠ যেন না হয় এবং তারা আরো যেন খুব দখল করতে পারে সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত এক নেতাকে দিয়ে বিভিন্ন মহলের তদবিদ চালাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কিছু বাসিন্দা আমার কাছে একটি আবেদন জমা দিয়ে গেছে, আমরা বিষয়টি আমলে নিয়েছি।
Discussion about this post