হাজী মুছা : গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন খাইলকুর এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার ২০২৪ এর ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে খাইলকুর বাদশাহ্ মিয়া অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয় এনড কলেজের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ দেবনাথের বিরুদ্ধে।
প্রতিষ্ঠানটির শেখ রাসেল পরিষদের সভাপতি দিপু শেখের মা ফাতেমা (৩৮) জানান, আমার স্বামী একজন ড্রাইভার আমার ছেলেমেয়ে তিনজন এর,মধ্যে ছোট ছেলে দিপু বাদশাহ মিয়া স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিবে। পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে ২১ হাজার টাকা নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্কুলের ২১৭ জন শিক্ষার্থী টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তার মধ্যে ২৩ জন শিক্ষার্থী টেস্টে সকল বিষয়ে উত্তির্ণ হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোচিং বানিজ্য করার জন্য প্রধান শিক্ষক ছাত্রদের এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন।
কোচিং ও ফরম পুরণ ব্যাপারে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোঃ আকরাম হোসেন ও হাজী মোঃ শাহিন মিয়া বলেন,স্কুলে এই বছর ২১৭ জন টেস্ট পরীক্ষা দেয় এর মধ্যে ২৩জন সব বিষয়ে উত্তীর্ণ হয় আর বাকী শিক্ষার্থী এক বা একাদিক বিষয়ে ফেল করে, যারা উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের ফরম পুরণ ৩০০০টা কোচিং ফি ২০০০টাকা। এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করা শিক্ষার্থী ফরম পুরণ ৩০০০টাকা, কোচিং ফি তিন মাসে ১৮০০০ টাকা নেয় তা সত্য, প্রধান শিক্ষ তাদেরকে ভালো করে কোচিং করাবে এই জন্য এত টাকা ধরছে।
ম্যানেজিং কমিটির আরেক সদস্য এম এম শামিম বলেন ঘটনা আংশিক সত্য।
স্কুলে শিক্ষক মাওলানা মোঃ মনির হোসাইন বলেন ঘটনা সত্য।
বর্তমান সভাপতি হাজী আঃ রশিদ এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলে ফোনে পাওয়া যায় না।
সাবেক সভাপতি তারিকুল জামান হিমু বলেন ঘটনা শুনছি ছাত্র ও অভিবাবকদের কাছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহরিয়ার মেনজিস বলেন অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক প্রদীপ দেবনাথ কে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনা অস্বীকার করে। দাতা সদস্য এডভোকেট মোঃ মহিউদ্দিন মহি বলেন কমিটির সদস্য ও শিক্ষকগণের কাছে শুনছি ঘটনা সত্য।
Discussion about this post